আঠারো বছরের তারুণ্যকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে এই পৃথিবীর বুকে, কেননা তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যতকে নেতৃত্ব দিবে একদিন। তাই তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী হতে উৎসাহিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী তরুণদের সাথে সংযোগ স্থাপনের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছিল, "তান রাত গ্রুপ বাংলাদেশ"। তিন দিনের এই বিশেষ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ৫০ তম জাতীয় বিজয় দিবস উদযাপন যার মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ, শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং এই স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস থেকে বিশ্বব্যপী তরুণ শক্তিকে জাগ্রত করাই ছিলো আন্তর্জাতিক এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
১৪ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া 'তান_রাত গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট ২০২১' ছিল একটি অনলাইন ইভেন্ট, যেখানে কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ভারত, দুবাই, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশসহ মোট ১১টি দেশের ৩৯জন আন্তর্জাতিক মানের অতিথি বক্তা অংশগ্রহণ করেছিলেন। অতিথিবৃন্দ তাদের জীবনধারা এবং তাদের কাজের সক্রিয়তার সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে কথা বলেছিলেন যা তরুণদের মধ্যে সাহস সঞ্চার করার পাশাপাশি বৈশ্বিকভাবে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে বলে দাবি করছেন আয়োজকরা । ২০২১ সালে 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ' এর ৫০তম 'জাতীয় বিজয় দিবস'কে স্মরণীয় করে রাখতে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর শততম জন্মবার্ষিকীতে 'তান_রাত গ্রুপ বাংলাদেশ' -এর বিশেষ এ আয়োজনের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বের তরুণদের একত্রিত হয়ে উন্নয়নমূলক কাজ এবং সমাজ পরিবর্তন করার মতো কাজ করতে উৎসাহ প্রদান করেছে। সর্বোপরি তরুণদের একত্রিত করে একটি উন্নত বিশ্ব তৈরির লক্ষ্যে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়ায় এই সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়েলকাম স্পীচ দেন ইভেন্ট কনভেনার বুশরা মোর্শেদ এবং সভাপতিত্ব করেন ইভেন্ট ডিরেক্টর ফয়সাল আহমেদ।
এরই সাথে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেডিক্স - মাস্কোম গ্রুপ এর সিইও এবং লিডারশীপ কোচ মো. আতিকুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কাজী প্রিন্টিং এন্ড এক্সেসরিজ লিমিটেড, কাজী ফিস এন্ড এগ্রো, কর্পোরেট বক্স লিমিটেড, নাশ কমিউকেশন এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং জে সি আই বাংলাদেশ এর ডিরেক্টর কাজী ফাহাদ। একই অনুষ্ঠানে তরুণদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাকিস্তানি সোশ্যাল এক্টিভিস্ট এবং 'টল্ক' এর প্রতিষ্ঠাতা ইকরা বিসমা এবং কিপ স্মাইলিং ফাউন্ডেশন, কিপ স্মাইল ক্লথিং এর সিইও জুনায়েদ আহমেদ ওমি। ১৫ ডিসেম্বর 'বৈশ্বিকভাবে তরুণদের একত্রিত করণ' প্রসঙ্গে একটি প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল আলোচনার।
ত্বত্তাবধানে ছিলেন 'আরাফাত কনস্ট্রাকশন' এর কমিউনেশন ও এডমিন অফিসার ফাহিম হাসান নিহান এবং আলোচনার অতিথিরা ছিলেন জিশান জোলাহা, আলেনা আরশাদ, জিশান শরীফ, সৈয়দ ফারহান আলী শাহ এবং শামীম আশরাফ। দ্বিতীয় দিনের বিশেষ অতিথি বক্তা ছিলেন পাকিস্তানি মিডিয়া ব্যক্তিত্ব দিয়া চৌধুরী এবং রেক সিরামিকস এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এইচ আর এডমিন জান্নাতুল ইলমী সূচনা। বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসের দিন অর্থাৎ সামিটের তৃতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর সারাদিনের অনুষ্ঠান ছিল বিভিন্ন দেশের অতিথি বক্তাদের নিয়ে যেখানে তরুণদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে এবং তাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপদেশ এর পাশাপাশি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন অতিথিরা। কিছু উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক অতিথি তাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন এবং তারা হলেন, মাইক ওলাদিপো (নাইজেরিয়া), হিদার ওয়ায়ার্ড-স্কট (কানাডা), সের্গেই চেরনোমাজ (ইউএই এবং ইউক্রেন), জন ডি. ম্যাকডোনাল্ড, পি.ই. (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ডাঃ কার্তিক এনডি (ভারত), ডাঃ সৃজন তিমিলসিনা (নেপাল) ইত্যাদি।
বাংলাদেশ থেকেও কয়েকজন অতিথি রয়েছেন, এবং তারা হলেন, সাফায়েত আনোয়ার শুরিদ (অ্যাসোসিয়েট গেম ডেভেলপার, 10 মিনিট স্কুল), মোঃ আশিকুজ্জামান (প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, রাইজারনেক্সট লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট), তানভীর শাহরিয়ার রিমন (সিইও, রাংকস এফসি প্রোপার্টিজ লিমিটেড), ইশরাত করিম ইভ (ডিরেক্টর, আমল ফাউন্ডেশন), রওমান স্মিতা (প্রেসিডেন্ট, গ্লোবাল ল থিঙ্কার্স সোসাইটি), উম্মে শারমিন কবির (প্রতিষ্ঠাতা, রিতু), আফরোজা নাজনীন (প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, সুমি'স কিচেন) প্রমুখ। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়া বৈশ্বিক সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইভেন্ট কনভেনার বুশরা মোর্শেদ এবং সভাপতিত্ব করেন তান_রাত গ্রুপ বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন (পিএইচডি গবেষক এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, জিএসসি, এসবিই, ইউনিভার্সিটি পুত্র মালয়েশিয়া) ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাইজেরিয়ান গ্লোবাল স্পিকার - মাইক ওলাদিপো এবং প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন মোঃ মোশাররফ হোসেন (গ্লোবাল এইচআর গুরু এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ এইচআর অর্গানাইজেশনস এর প্রসিডেন্ট ), এবং বিশেষ অতিথি মাইক ওলাদিপো (গ্লোবাল স্পিকার)। তিন দিনের দীর্ঘ এই প্রোগ্রামটির উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন ইভেন্ট কনভেনার বুশরা মোর্শেদ। তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা 'তান_রাত গ্রুপ বাংলাদেশ' প্রায় ১৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশব্যাপী ১২টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে একই প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে। তরুণ শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল জ্ঞান অর্জন এবং এ জ্ঞানকে আয়যোগ্য দক্ষতা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রায় আড়াই বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে সংগঠনটি। বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করার লক্ষ্যে তান_রাত গ্রুপ বাংলাদেশ এর সফল এই আয়োজনের প্রশংসা করেছেন এবং শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ১৯৭১ সালে শহিদ সকল শহিদের প্রতি ।
Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: