• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৯ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

Advertise your products here

ইসলামের মূল ভিত্তি ৫টি


Newsofdhaka24.com ; প্রকাশিত: বুধবার, ০৫ জানুয়ারী, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৪৪ এএম
Islam
হাফেজ মাওলানা সালেহ আহমদ।

ইসলামের মূল ভিত্তি পাঁচটি।
১-কালিমা, ২-নামাজ, ৩-রোজা, ৪- হজ্ব, ৫- যাকাত।

আমি বিষয়গুলো নিয়ে পরিপূর্ণভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবে ইনশাল্লাহ।

ঈমান কি?
ঈমান হল মুখে আল্লাহকে স্বীকার করা অন্তরে আল্লাহ কে বিশ্বাস করা এবং শরীরে মাধ্যমে সেটা প্রকাশ করা।

ঈমানের মাধ্যমে আমরা কি লাভ করতে পারি?
ঈমানের মাধ্যমে মানুষ মুক্তি কল্যাণ ও সফলতার চাবিকাঠি পায়।

আমরা ঈমান কে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।

প্রথমত: কিছু বিষয় আছে যে বিষয়গুলোর উপর আমাদেরকে ঈমান আনতে হবে।

দ্বিতীয়তঃ কিছু বিষয় আছে যেই বিষয়গুলো আমাদের ঈমানকে ধ্বংস করে সেই কাজগুলো আমাদেরকে বর্জন করতে হবে। 

 ঈমানের যে প্রকার গুলো উপরে উল্লেখ করা হলো  
 সেই বিষয়গুলো নিয়ে পরিপূর্ণ আলোচনা করব কিন্তু সেটা ধারাবাহিকভাবে পর্ব পর্ব হিসেবে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ

প্রথম পর্বে: কিছু বিষয় উপর আমাদেরকে ঈমান আনতে হবে সে বিষয়গুলো হলো:

প্রথমত: আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হবে।
আল্লাহর উপর ঈমান আনার  কিছু পর্যায় আছে।

প্রথম: জ্ঞান পর্যায়ের তৌহিদ সেটা আবার দুইভাবে হতে পারে,
সৃষ্টি ও প্রতিপালনের তাওহীদ। যেটাকে আরবিতে বলা হয় তাওহীদুর রুবিয়া অর্থ হলো বিশ্বাস করা যে আল্লাহ এই মহাবিশ্বের একমাত্র স্রষ্টা,প্রতিপালক,পরিচালক, রিযিকদাতা,পালনকর্তা.

দ্বিতীয়: নাম ও গুণাবলীর তাওহীদুর আসমা নাম ও গুণাবলী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা যে মহান আল্লাহতালা সকল পূর্ণতার গুণে গুণান্বিত।

দ্বিতীয় পর্যায় হলো: সকল প্রকার ইবাদত উপাসনা আরাধনা মূলক কর্ম যেটাকে আরবিতে তাওহীদুল উলুহিয়া বলে। সকল প্রকার ইবাদত বর্ণনামূলক যেমন প্রার্থনা সিজদায় উৎসর্গ তাওয়াক্কুল নির্ভরতা ইত্যাদি একমাত্র আল্লাহর জন্য করা আল্লাহর উপর বিশ্বাস করা হলো এই পর্যায়ে তাওহীদ।

দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর ফেরেশতা গনের উপর ঈমান আনতে হবে
ফেরেশতারা হলেন যারা আল্লাহর সৃষ্টি জীব যারা সবসময় আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকে তাদের সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন 
আর আপনার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন

তৃতীয়তঃ আল্লাহর কিতাব সমূহের উপর ঈমান আনতে হবে
আল্লাহ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রায় একশো চার খানা কিতাব আমাদের কাছে প্রেরণ করেছেন যার মধ্যে চারটি কিতাব বড় একটা হল তাওরাত যেটা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত মুসা আলাই সালাম এর উপর বাজিল করেছেন দ্বিতীয় টা যাবুর কিতাব টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দাউদ আলাই সালাম এর প্রবর্তন করেছেন
ইঞ্জিল আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হযরত ঈসা আলাইহিস সালাতু সালামের উপর নাযিল  করেছেন।
শেষ কিতাব আল কোরআন যেটাকে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর উপর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাযিল করেছেন।

চতুর্থ:আল্লাহর রাসুলগণের উপর ঈমান আনতে হবে।
আল্লাহতালা দুনিয়াতে অগণিত নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন তার মধ্য থেকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সবথেকে প্রিয় নবী এবং রাসূল হলেন আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাকে সৃষ্টি না করা হলে পৃথিবী সৃষ্টি করা হতো না কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতো না তিনি হলেন আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সব থেকে কাছের মানুষ যার কারণে তার উপর সাথে অন্যান্য নবীদের উপর ঈমান আনতে হবে। 

পঞ্চম:আখিরাতের উপর ঈমান আনতে হবে
আখিরাতের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ও তৎসংশ্লিষ্ট বিশ্বাস
মৃত্যুর পরে কবরের বিশ্বাস,শিংগায় ফুৎকারের বিশ্বাস, পুনরুত্থান, হাশর,সাফাত, হিসাব-নিকাশ,আমলনামা প্রদান, দাঁড়িপাল্লা,হাউজে কাউসার, সিরাত, জাহান্নাম, জান্নাত,
এটার সাথে  কিয়ামতের আলামত সম্পর্কে কিছু বিশ্বাস রাখতে হবে।
কিয়ামতের বিশ্বাস, কিয়ামতের আলামত বিশ্বাস, আলামতে সুগরার উপর বিশ্বাস,আলামতে কুবরার উপর বিশ্বাস, ইমাম মাহাদী সম্বন্ধে বিশ্বাস, দাজ্জাল সম্বন্ধে বিশ্বাস, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাতু সালামের পৃথিবীতে অবতরণ সম্বন্ধে বিশ্বাস, পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদয় সম্পর্কে বিশ্বাস,কিয়ামতের পূর্বে দুনিয়ার অবস্থা ও কেয়ামত সম্পর্কে বিশ্বাস, আকাশের এক ধরনের ধর সম্বন্ধে আকীদা-বিশ্বাস, ইয়াজুজ মাজুজ সম্বন্ধে বিশ্বাস, দাব্বাতুল আরদ সম্পর্কে বিশ্বাস.


ষষ্ঠ:তাকদীর বা আল্লাহর নির্ধারণ বা সিদ্ধান্তের উপর ঈমান আনতে হবে।
তাকদীর অর্থ নির্ধারণ তাকদীরের উপর ঈমানের অর্থ আল্লাহর জ্ঞান লিখুন সৃষ্টি ইচ্ছা ও ন্যায়বিচার বিশ্বাস স্থাপন করা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন আমার কাছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার রয়েছে আমি নির্দিষ্ট পরিমাণে তা অবতরণ করে অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন আল্লাহ যা ইচ্ছা মিটিয়ে দেন এবং বহাল রাখেন এবং মূল গ্রন্থ গ্রন্থ তার কাছেই রয়েছে হযরত আবু হুরাইরা বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন শক্তিশালী মুমিন আল্লাহর নিকট থেকে বেশি প্রিয় ও বেশি ভালো তবে তাদের উভয়ের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে


আমরা বুঝতে পারলাম এই সমস্ত বিষয়ের উপর যখন আমরা ঈমান আনব তখন আমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হিসেবে পরিণত হবে এছাড়াও ঈমানের অনেক শাখা-প্রশাখা রয়েছে যেগুলো পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আলোচনা করব এবং দ্বিতীয় পর্ব আছে ইনশাল্লাহ সেখানে তার আলোচনা করা হবে আল্লাহ আমাদের সকলকে  করুকআমল করার তৌফিক দান  করুন আমিন।

Newsofdhaka24.com / হা: মাও: সালেহ আহমাদ

ইসলাম বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ