নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে রস উৎসব। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল ভাস্কর্যে বৃহত্তর রংপুর ডিভিশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মনোরম উৎসবটির আয়োজন করা হয়।
তীব্র শীতের মাঝে একটু আনন্দ আনয়নে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে উৎসবটি আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এছাড়াও ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজনে উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, রস উৎসব মানে বাঙালি সংস্কৃতির উৎসে ফেরার চেষ্টা। আমাদের নিজস্ব মাটির এই অমৃত রসধারা, এটি অনন্য। এই রস উৎসবের আয়োজন করায় আমি রংপুর স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশের খেজুরের রস নিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীদের কাজের সুযোগ আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা জানি মধ্যপ্রাচ্যের খেজুর ভালো মানের। এর খাদ্যপ্রাণ, খাদ্যমানের কারণে বিশ্বের নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে কী খেজুরের রস পাওয়া যায়! আমর সন্দেহ হয়েছে এটা নিয়ে। পাওয়া গেলে আমরা নিশ্চয়ই শুনতাম। কোনো না কোনভাবে বোতলজাত হয়ে সেটি আমাদের কাছে পৌঁছে যেতো। এখনও যেহেতু সেরকম কিছু শুনিনি, তাই আমাদের খেজুরের রস নিয়ে ভাবতে হবে। এই রসটি আমাদের এই অঞ্চলের নিজস্ব সম্পদ কী না? এসব নিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে। খেজুর রসকে নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রসর হতে পারি।
ড. সৌমিত্র শেখর আরও বলেন, খেজুরের রস নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক নেতিবাচক প্রচারণা হচ্ছে। যা মোটেও ঠিক নয়। খেজুরের রসে নিপাহ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে হবে। এই নিপাহ ভাইরাসের জন্য তো রস খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। নিপাহ ভাইরাসের কথা ভেবে রস পান বন্ধ করে দিলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে খেজুরের গাছ বিলীন হয়ে যাবে।
উৎসবে আগত সকলকে খেজুরের রস পান করানো হয়। উৎসব থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে দুঃস্থ অসহায় শীতার্ত মানুষের শীতবস্ত্র প্রদানে ব্যয় করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
Newsofdhaka24.com / News
আপনার মতামত লিখুন: