স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম সরকার। তার ভাতিজা সাখাওয়াত হোসেন সাকু ছিলেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিশনন্দী ইউনিয়ন বাজার কমিটির সভাপতি। সাকুর নিয়ন্ত্রণে ছিলো মদিনা পরিবহন বাস। ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতার জিম্মির কবলে পড়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে বিএনপিতে জোরপূর্বক যোগদান করেন সাকু। ফলে পরিবহন চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে উক্ত দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে।
গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর নানান চাঁদাবাজি, অর্থ লুটপাট, অগ্নি-সন্ত্রাসের ছড়াছড়ি ও অভিযোগ স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে। তাদের জিম্মির মুখে পড়ে অনেক আওয়ামী লীগ নেতাদের অর্থ দিতে হয়েছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি এখনো চলমান রয়েছে। বিশনন্দী ফেরীঘাট টু সায়দাবাদ রুটে মদিনা পরিবহন বাস চলাচল করতো। এই বাসের একক মালিকানায় ছিলো সাকু। আওয়ামী সরকারের পতনের পর পুনরায় বাস চালু করার জন্য ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিতে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে লোকজন একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন।
সূত্রমতে, উক্ত দুই নেতা বিশনন্দী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মাসুদ ও সেক্রেটারি খাজা মাঈনুদ্দিন, সাকুর সাথে অর্থ বিনিময়ে মদিনা বাস চলাচলের অনুমতি প্রদান করেন। আওয়ামী সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু'র সময়ে, সাকু ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছিলেন। ফলে স্থানীয় লোকজনের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এই দুই নেতার চাঁদাবাজি বেড়েই যাচ্ছে। জোরপূর্বক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদান করে অর্থ বানিজ্য করে যাচ্ছেন এবং ইউনিয়নকে ত্রাসের রাজত্ব বানাচ্ছেন।
Newsofdhaka24.com / News
আপনার মতামত লিখুন: