
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক গতকাল রবিবার সব আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে গতকালই নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন বাইরে থাকা কয়েকজন সমন্বয়ক। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার সারাদেশে ‘ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ’ কর্মসূচি এবং ‘প্রতিবাদ সমাবেশ’ করার কথা তাদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ ঢাকার আটটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়েছিল। এই আট স্থান হচ্ছে- সায়েন্স ল্যাব, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট, প্রেসক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর–১০, মিরপুরের ইসিবি চত্বর, রামপুরা ও মহাখালী।
সকাল থেকে দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোথাও শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি দেখা যায়নি। তবে রাজধানীর পল্টন এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে ৪ জন ও ইসিবি চত্বর থেকে ২ জনকে আটক করা হয় বলে জানা যায়।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণায় আগাম মাঠে নেমেছে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
ঢাকাসহ সারাদেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রয়েছে সেনাবাহিনীর টহল।
সোমবার সকাল থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলনকারী জড়ো হওয়ার খবর প্রচার হতে থাকে। সেখানে পুরনো ছবি ব্যবহার করে বাসা থেকে রাজপথে আসার আহ্বান জানানো হয়। এর মধ্যে মিরপুর বিশাল জনসমাগম হয়েছে– এমন ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মিরপুর ১০, ১১, ২, কাজীপাড়া ও এর আশপাশ এলাকা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ওই এলাকায় কোনও আন্দোলনকারীকে দেখা যায় নি। মিরপুরে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মার্কেটগুলো খোলা রয়েছে প্রতিদিনের মতো। তবে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, বাড্ডা, রামপুরা, প্রেস ক্লাব, যাত্রাবাড়ীতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের উপস্থিতি। সড়কেও বাড়তি পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। সড়কে যানবাহনের চাপও রয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ সারাদশে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বাড্ডা এলাকায় দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, কোটা আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। এখন যারা মাঠে নামার চেষ্টা করছে, তারা দুষ্কৃতকারী।
আমরা জনগণের ও তাদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যা কিছু করার, আমরা সেভাবেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Newsofdhaka24.com / News
আপনার মতামত লিখুন: