ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নিখোঁজের একদিন পর পুকুরে ভেসে ওঠল দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ।
শিক্ষার্থীর নাম আলিফ মোল্যা (৯) সে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কামারহাটি গ্রামের পোষাক শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম মোল্যার ছেলে। আলিফ সাতৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন বিকালে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় আলিফ মোল্যা, সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে না আসায় নানা স্থানে খোঁজাখুজি করেও তার কোনো সন্ধান পাননি পরিবারের সদস্যরা ।
১৪ জুন শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ী থেকে বেশ কিছুটা দূরে ফকিরের-ভিটা বিলে সজল মিয়ার পুকুরে শিশুটির মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় কৃষকরা।
পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে সনাক্ত করে।
পরিবার ও পুলিশের ধারনা দূরন্ত প্রকৃতির ছেলে আলিফ মোল্যা পুকুরটিতে পড়ে গিয়েছিল, সাঁতার না জানায় পানিতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে তার।
খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক আব্দুল লতিফ মণ্ডল কামরহাটি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম মোল্যার বাড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফরিদপুর জেলা সহকারি পুলিশ সুপার (মধুখালি সার্কেল) মো. ইমরুল হাসান ও বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম।
মৃত শিক্ষার্থী আলিফের চাচা শরীফ মোল্যা বাদি হয়ে শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। নিখোঁজের পর পানিতে ভাসমান মৃতদেহ পাওয়ায় ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন- ধারণা করা হচ্ছে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু শিশুটি নিখোঁজ ছিল তাই মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনের জন্য ময়নাতদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টুটুল বসু
বোয়ালমারী, ফরিদপুর
Newsofdhaka24.com / News Desk
আপনার মতামত লিখুন: