• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ; ২৮ মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

Advertise your products here

কুড়িগ্রামে ছত্রাকে ভুট্টা চাষীদের মাথায় হাত


Newsofdhaka24.com ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ এপ্রিল, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৪:৪২ পিএম
ভুট্টা
ভুট্টা চাষীদের মাথায় হাত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ২২-০৪-২০২২
কুড়িগ্রামে হঠাৎ করে ভুট্টা ক্ষেত ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ায় চাষীদের মাথায় হাত পরেছে। ধারদেনা করে কিংবা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে যারা স্বপ্ন বুণছিলেন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর তারাই এখন হতাশ কিভাবে শোধ করবেন ধারদেনা। 
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, চলতি বছর সদর উপজেলায় ভুট্টা চাষ করা হয়েছে ৭২০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ১০ হেক্টর ভুট্টা বিনষ্ট হয়ে গেছে  রোগে। ধারণা করা হচ্ছে যেসব কৃষক নতুন জাতের বীজ লাগিয়েছেন তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্তু ভুট্টা চাষীদের চোখে মুখে এখন হতাশা ফুটে উঠেছে। অনেক আশা করে টাকা লগ্নি করে ভুট্টা চাষ এখন তাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আক্ষেপের আরেকটা কারণ হলো, গতবার যে ভুট্টার দাম ছিল ৭০০টাকা সেই ভুট্টার দাম উঠেছে এখন ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকা। দাম বাড়লেও ভুট্টা নষ্ট হওয়ায় লাভের আশায় এখন গুড়েবালি। 
এবার সদর উপজেলার ধরলা নদী অববাহিকায় চর সারডোব চরাঞ্চলে দিগন্ত জুড়ে চাষ করা হয়েছে ভুট্টা। কিন্তু হঠাৎ করে ছত্রাক জাতীয় রোগে ভুট্টার মোচার গোড়ায় পচণ ধরায় সেটি অপরিপক্ক অবস্থাতেই মাটিতে পরে বিনষ্ট হচ্ছে। বিভিন্নভাবে ঔষধ স্প্রে করেও মিলছে না প্রতিকার। ফলে অনেক কষ্ট করে যারা ভুট্টা লাগিয়েছেন তাদের মাথায় এখন বাজ পরেছে। এছাড়াও যারা ব্যাংক, এনজিও এবং ধারদেনা করে ঘুড়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিলেন তারাই এখন ভুট্টার ফলন বিপর্যয়ে হতাশ এবং বিপর্যস্ত! কিভাবে ধারদেনা মেটাবেন এই দুশ্চিন্তায় কাটছে বিনিদ্র রাত।

চর সারডোব এলাকার ভুট্টা চাষী সামাদ জানান, আমি ২লক্ষ টাকা খরচ করে ৪ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। কিন্তু রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার দুই একর ভুট্টা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমার আসল নিয়ে টানাটানি পরে গেছে।
সন্নাসী গ্রামের ভুট্টা চাষী নজরুল হোসেন জানান, কৃষি ব্যাংক থাকি ঋণ নিয়েছি। পরে টাকা সট পরায় লাভের উপর টাকা নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছি। ভেবেছিলাম ভুট্টা তুলে পরে টাকা পরিশোধ করবো। এখন দেখি অর্ধেক জমির ভুট্টা শেষ। বাকীটা ঔষধ স্প্রে করে রক্ষা করেছি। এখন আমি মাঠে মারা গেলাম।
সামাদ ও নজরুল হোসেনের মত প্রায় একই অবস্থা হয়েছে এখানকার ভুট্টা চাষীদের। স্থানীয় কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে পরির্দশন করে জানিয়েছে নতুন জাতের ভুট্টা বীজ যারা ব্যবহার করেছেন তারাই বেশিরভাগ ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হয়েছেন। দেরীতে রোগ ধরা পরায় ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হয়েছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, হঠাৎ করে বøাস্ট রোগের কারণে প্রায় ১০ হেক্টর জমির ভুট্টা নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করে তাদেরকে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে হবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মো. শামসুদ্দিন মিঞা জানান, আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির কোন হিসাব নাই। তবে বৃষ্টিতে ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ১ হেক্টর ভুট্টা নিমজ্জিত হয়েছে বলে তিনি জানান।

Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক

কৃষি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ