বিকাশ রায় বাবুল, নীলফামারী : বহুকাল পূর্ব থেকে হালচাষের ক্ষেত্রে মহিষের ব্যবহার ছিল লক্ষ্যণীয়। প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে কৃষকের লাঙ্গল -জোয়াল আর মহিষ নিয়ে মাঠে যাওয়া, এরপর হালচাষ ও পরে মই টেনে জমিকে ঠিকঠাক করা সব কিছুই ছিল নিত্যদিনের চিত্র।
কিন্তু বর্তমানে কৃষি কাজের আধুনিকায়নের ফলে গ্রাম বাংলায় সহজে আর দেখা মেলে না এমন চিত্র।
এমনি এক চিত্রের দেখা মিলল নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের মান্দুর দোলায়। দেখা যায় কৃষক হাফিজুল ইসলাম তার কেনা দুটি মহিষ দিয়ে হালচাষ করে মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন। তিনি বলেন, আমি এখনো ছোট ছোট জমিতে যেখানে বড় হাল(ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার) ঢুকতে অসুবিধা হয় বা আসতে চায় না সেসব জমিতে মহিষ দিয়ে হালচাষ করি। একটা সময় প্রতিনিয়ত মহিষ দিয়ে হালচাষ করে আবাদ করছিলাম কিন্তু বর্তমানে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার থাকার কারনে আর মহিষ দিয়ে বেশি হালচাষ করি না।
ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের কৃষক নীলকান্ত রায় বলেন, মহিষ পোষা অনেক কষ্টকর, অনেক খাদ্যও লাগে এবং দেখাশুনা করার জন্য সবসময় একটা লোকের দরকার হয়। তাছাড়া এখন ট্রাক্টর,পাওয়ার টিলারের কারণে হালচাষ করা অনেক সহজ হয়েছে এজন্য মহিষ দিয়ে হালচাষের দরকার হয় না।
Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: