ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৯ নং রায়পুর ইউনিয়নের দেহন বাজার এলাকায় ভূয়া ‘চিকিৎসা’সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তার চেম্বারে প্রতিদিন রোগীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এলাকার ডাক্তার হিসেবে তিনি পরিচিত। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসা শাস্ত্রে তার কোনো ডিগ্রি নেই এবং ডিগ্রির কোন মানেই বুঝেনা।
স্থানীয়রা জানান, ডিগ্রি ছাড়াই নামের পাশে ডাক্তার লিখে রীতিমতো ওষুধের দোকানে চেম্বার খুলে বসেছেন ভুয়া ডাক্তার নুরুজ্জামান বাবলু । দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এভাবেই ‘চিকিৎসা’ দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নিজের নামে প্যাড করে রোগীদের বিভিন্ন টেস্ট দিচ্ছেন, রোগী দেখার পর প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে দিচ্ছেন।
নুরুজ্জামান নিজেকে দাবি করছেন (ডি.এম.এফ ঢাকা) প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হিসেবে। শোনাচ্ছেন ডাক্তারি বিদ্যায় বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জনের কথা। বলছেন অনেক কঠিন রোগের চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার বীরত্বের গল্প।
শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় প্রায়ই দেখা যায়, ডাকঢোল পিটিয়ে মাইকিং করে বিভিন্ন অফারসহ নুরুজ্জামান বাবলু নানা প্রচার। তার চেম্বারের সাইনবোর্ডে ভালো ডাক্তারদের নামের তালিকাসহ রোগী দেখার দিন সময় লেখা রয়েছে। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা নুরুজ্জামান বাবলু অপচিকিৎসায় যে কোনো বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন। তারা বলছেন, নুরুজ্জামান বাবলু ভুল চিকিৎসায় মানুষকে ঠেলে দিচ্ছেন মৃত্যুঝুঁকিতে। চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা । নুরুজ্জামানের মতো ডিগ্রিহীন ডাক্তারদের কারণেই ভালো ডাক্তারদের বিশ্বাস করতে পাচ্ছে না যে, কে আসল আর কে নকল।
চেম্বারে গিয়ে দেখা গেল, ব্যানারে তার কঠিনতম রোগের চিকিৎসা কথা। তার মধ্যে সুন্নতের খাৎনা, নাকের পল্লিপাশ, চর্ম,যৌন, মা-শিশু সহ অনেক কঠিন রোগের
দেহন বাজারে নাম বলতে অনিচ্ছুক পান দোকানদার বলেন শুনতেছি বাবলু নাকি এখন ডাক্তার হইছে কিন্তু সে তো আমার জানা মতে পঞ্চম শ্রেণী পযর্ন্ত পড়েনি তো ডাক্তার হলো কি ভাবে,আমার মাথায় ঢুকে না।
এই বিষয়ে নুরুজ্জামান বাবলু কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি (ডি.এম.এফ ঢাকা) পড়াশোনা করতেছি বলেই লিখছি, আপনাদের কি অসুবিধে বলেন তো। সাথে ওষুধ বিক্রি করার ড্রাক লাইসেন্স দেখতে চাইলে তিনি বলেন কেবল শুরু করছি সময় লাগবে। (ডি.এম.এফ) অর্থ না জানায় তিনি বলেন,কেনো লিখছি তা আপনারাই বলেন।
তিনি আরো বলেন, অনেক ডাক্তার আছে যে ব্যানারে ডাক্তার লিখে চিকিৎসা দিচ্ছে তাদের তো কিছু হয় না, তো আমার কি হবে।
তবে, এই সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য তিনি এই প্রতিবেদককে বিভিন্নভাবে ম্যানেজের চেষ্টা চালায়।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, যদি সে প্রকৃত ভাবে ভূয়া ডাক্তার হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: