• ঢাকা
  • শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

Advertise your products here

শের- ই- সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ


Newsofdhaka24.com ; প্রকাশিত: সোমবার, ০৮ আগষ্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ০৯:৩৭ পিএম
ধর্ষণ অভিযোগ
শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি: মোঃ আবদুস সালাম,

  বর্তমানে ওই ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে চলছে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রফাদফার চেষ্টা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বামনা উপজেলার শের-ই -বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মান্জুরুল আলম হানিফ প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে স্কুলের পাশে একটি ঘরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সহকারী শিক্ষক হানিফের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ উঠেছিল।

তারা আরও জানান, অভিযুক্তকারী শিক্ষক হানিফ এক লাখ ১০ হাজার টাকায় ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জোমাদ্দার ও প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের কাছে মীমাংসার জন্য দেন। ওই টাকা থেকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ভুক্তভোগীর বাবাকে দেওয়ার কথা। কিন্তু ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে নাকি তারা কোনো টাকাই দেননি। ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমরা গরিব মানুষ, যা হওয়ার হয়েছে। আমরা কিইবা করতে পারব। আমরা কোথাও এর সুষ্ঠু বিচার পাব না। তাই বেশি কিছু বলতে চাই না। ভুক্তভোগীর মা জানান, বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জোমাদ্দারকে জানানো হলে তিনি ওই শিক্ষকসহ তাদের ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন।

 

পরে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. হানিফ এসব বিষয় অস্বীকার করে জানান, গত বছর আমি তাকে প্রাইভেট পড়িয়েছি। এ বছর তাকে পড়াইনি। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম জোমাদ্দারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।

 

আমার কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আছে তারা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। বামনা থানার ওসি বশিরুল আলম জানান, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী ও শিশু বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ