রাজধানীতে তীব্র গ্যাস সংকট। মিঠি মিঠি করে জ্বলছে চুলা। আবার অধিকাংশ জায়গায় জ্বলছেই না। সাধারণ জনগণ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। হোটেলে গিয়েও খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ভোগ নিম্ন আয়ের মানুষ ও দিনমজুরের।
অথচ সকলের কাছ থেকেই গ্যাস বিল আদায় করা হচ্ছে সঠিক সময়ে। লাইনে গ্যাস না থাকায় এদিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে চড়ামূল্যে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড নবাবপুর রোডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর কিরণ বেসরকারি চাকরি করেন। তিনি শনিরআখড়া থেকে গত ডিসেম্বর মাসে নবাবপুর বাসা ভাড়া নিয়েছেন। জাহাঙ্গীরের ভাষ্য শনিরআখড়া, মাতুয়াইল ও রায়েরবাগ এলাকায় বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংকট থাকায় নবাবপুর বাসা নিয়েছেন। কিন্তু এখানেও গ্যাসের সমস্যা রয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (টিজিটিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবাল মো. নূরুল্লাহ গণমাধ্যমের কাছে বলেছিলেন, গত ২২ জানুয়ারির মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু এরপরও গ্যাসের স্বল্পতা রয়েই গেছে। রয়ে গেছে ঢাকাবাসীর ভোগান্তি।
গ্যাস সরবরাহ সংকটের বিষয়ে ভোক্তা অধিকারের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান আরটিভি নিউজকে বলেন, শীত মৌসুমে গ্যাসের লাইনে গ্যাসের চাপ কমে। যেখানে এলাকায় গ্যাস সংকট তৈরি হয়েছে সেখানে প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা জরুরি। এতে একজন গ্রাহক যতটুকু গ্যাস ব্যবসার করবেন ততটুকু বিল পরিশোধ করবেন। এতে গ্রাহকদের গ্যাসের বিল পরিশোধের দ্বন্দ্ব বা সন্দেহের অবকাশ দূর হবে।
প্রিপেইড গ্যাসের মিটার ও কার্ডের সমস্যা সমাধানে নিয়োজিত রয়েছে সফট্ওয়ার ইঞ্জিনিয়ার কাজল। তিনি আরটিভি নিউজকে বলেন, প্রিপেইড গ্যাস মিটারে একজন গ্রাহক যতটুকু গ্যাস ব্যবহার করবেন ততটুকুর বিল পরিশোধ করতে হবে। সেখানে ছোট পরিবার হলে প্রিপেইড মিটারে ৫শ’ টাকার গ্যাসে এক মাস চলে যায়। আবার বড় পরিবার ও রান্না বেশি হলে সর্বোচ্চ আটশ টাকার মধ্যেই ১ মাস অতিবাহিত করতে পারেন। প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের ফলে প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয় রোধে গ্রাহক সচেতনতা ও আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস সাশ্রয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে একদিকে যেমন গ্যাসের অপচয় রোধ হয়, অন্যদিকে গ্রাহকদের অর্থ সাশ্রয় হয়।
Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: