• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Advertise your products here

Advertise your products here

Advertise your products here

ফিলিস্তিনে কি কোকাকোলার ফ্যাক্টরি আছে?


Newsofdhaka24.com ; প্রকাশিত: শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০২:০১ পিএম
ফিলিস্তিনে
ফিলিস্তিনে কি কোকাকোলার ফ্যাক্টরি আছে,

বাংলাদেশে একটি বিজ্ঞাপন কে ঘিরে ফেসবুকে চলছে তুলকালাম। সেই বিজ্ঞাপনের মধ্যে কি রয়েছে, যার ফলে এত সমালোচনার ঝড়, একজন দোকানদার এক যুবককে বুঝাচ্ছেন কোক মোটেও ওই জায়গার না।

 

আসলেই কি ফিলিস্তিনে কোকা-কোলার ফ্যাক্টরি আছে?

 গুগল google খুঁজে আমরা জানতে পারলাম, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ফিলিস্তিনের গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে কারখানা চালু ঘোষণা দেয় কোকাকোলা। তার কয়েক মাস আগে থেকে সেখানে বোতল তৈরির কারখানা চালু করেছিল আংশিকভাবে। কোকাকোলার দাবি গাজায় কোকাকোলার ফ্যাক্টরি তৈরি হলে সেখানকার বিপুলসংখ্যক জনগণ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।

কোকাকোলা কোম্পানির তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহতার বলেছেন, সারা বিশ্বের সম্প্রদায় গুলোকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আমরা গাজায় নতুন কারখানা চালু করেছি। যদিও ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে তিনটি বোতলজাতকরণ কারখানা রয়েছে। তারপরেও এই কারখানা গাঁজা বাঁসির অর্থনীতিকে সুগম করবে। কোকাকোলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও গাজায় কোকাকোলার কারখানার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

 

কোকাকোলা যেভাবে গাজায় সাম্রাজ্য বিস্তার করল
১৯৯৭ সালে গাজায় কোকাকোলার ফ্র্যাঞ্চাইজি চালু করেন এনবিসির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাহি খৌরি। এরপর গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি গাজায় কোকাকোলার সঙ্গে তাঁর ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। 

তবে তাঁর এই ব্যবসায়িক যাত্রা মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দীর্ঘ সময়ের চলমান সংঘাতের মধ্যে তাঁকে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হয়েছে।

নানা প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে জাহি খৌরি ধীরে ধীরে কোকাকোলার সঙ্গে তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন এবং চারটি বোতলজাতকরণ কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি কোকাকোলার তিনটি সরবরাহ কেন্দ্রও প্রতিষ্ঠা করেন।

কূটনীতিক সংস্থা মিডল ইস্ট কোয়ার্টেটের প্রধান কিটো ডি বোয়ের বলেন, গাজায় তাঁর প্রভাব বর্ণনা করা কঠিন। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত জনপদে কারখানা চালু রাখা ব্যবসা পরিচালনা করা সহজ নয়।’ 

কোকাকোলার মতো একটি বৈশ্বিক কোম্পানির করপোরেট অংশীদার জাহি খৌরি এবং এটিই এখন তাঁর প্রধান পরিচয় হয়ে উঠেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, তাঁর হাত ধরে কোকাকোলা যেমন ফিলিস্তিন অঞ্চলে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে, তেমনি গাজায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি অর্থনীতিতেও অবদান রাখতে পেরেছে।

ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সংস্থা স্কল ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যালি ওসবার্গ বলেন, কোকাকোলা এই অঞ্চলে দারুণভাবে সফল হয়েছে। কথা স্বীকার করতেই হবে যে, যার হাত ধরে ফিলিস্তিন অঞ্চলে কোক তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে, তিনি জাহি খৌরি।

তথ্যসূত্রআরব নিউজ, দ্য নিউ আরব, বিবিসি কোকাকোলার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট

 

Newsofdhaka24.com / News

আর্ন্তজাতিক বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ