![website logo](https://www.newsofdhaka24.com/webimages/logo.png)
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ০৬.০৫.২০২২
দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করে আসছিল এক জামাই।এরপর শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে পিটাতে গিয়ে শ্বাশুড়ি এগিয়ে আসলে শ্বাশুড়িকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে খাদিমুল ইসলাম নামে এক জামাই।
সদর উপজেলার চর সিতাইঝার এলাকার বাসিন্দা মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে খাদিমুল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।যৌতুকের দাবিতে মেয়ের ওপর নির্যাতন সইতে না পেরে শ্বাশুড়ি এছমা বেগম মেয়ের দিকে এগিয়ে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বাশুড়িকেও পেটায় জামাই খাদিমুল। এসময় লাঠির আঘাতে মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন শ্বাশুড়ি এছমা বেগম।পরে এলাকাবাসীরা দ্রæত এসে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।এরপর পুলিশ খবর পেয়ে অভিযুক্ত জামাই খাদিমুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এছমা বেগম ও তার মেয়ে লিপি বেগম জানান,গত দুই বছর আগে সদর উপজেলার চর সিতাইঝারের বাসিন্দা মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে খাদিমুল ইসলামের সাথে লিপির বিয়ে হয়। বিয়ের পর খাদিমুলকে যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকা দেয়া হয়। এর এক বছর পর আরও এক লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেলের জন্য স্ত্রী লিপি ও তার পরিবারকে চাপ দিয়ে আসছিল খাদিমুল। কিন্তু তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় লিপির ওপর খাদিমুল শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এরপর স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ২৯ মার্চ লিপি তার বাবার বাড়িতে চলে আসে।বৃহস্পতিবার খাদিমুল তার শশুরবাড়িতে গিয়ে আবারও লিপি বেগমকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়ার এক পর্যায়ে তাকে কাঠের লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে। এসময় শাশুড়ি এছমা বেগম মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে এছমা বেগমের মাথা ফেটে যায়।পরে দ্রæত এলাকাবাসীরা তাদের দুজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এরপর এ ঘটনায় এছমা বেগমের ছেলে ও গৃহবধূ লিপির ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে সদর থানায় যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা করেন। এরপর রাতেই খাদিমুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: