ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এক মেধাবী শিক্ষার্থী আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন, সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে সহপাঠীসহ মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
৪ মার্চ সোমবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন -
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দাখিল পরীক্ষা শেষে বন্ধুর মোটরসাইকেলে বাড়ী ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয় দুই শিক্ষার্থী।
দ্রুত গতীতে মোটরসাইকেল চালানোর অজুহাতে তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সদস্য।
হামলার শিকার শিক্ষার্থীর নাম মো. মেহেদী হাসান (১৪)। সে পার্শ্ববর্তী জেলা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। মেহেদী আলফাডাঙ্গায় ফুফুর বাড়ীতে থেকে ধলাইরচর বরকতিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। দাখিল পরীক্ষার্থী এ মেধাবী শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা কাশিয়ানী উপজেলার বেজড়া গ্রামের শুভ কাজী (১৬), আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ইছাপাশা গ্রামের মো. তামিম (১৬), কুসুমদি গ্রামের রাকিব (১৭), অপু (১৬) ও একই উপজেলার ব্রাহ্মণ জাটিগ্রাম এলাকার নয়ন সহ সবার (১৭) দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ধলাইরচর বরকতিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা শেষে তার চাচাতো ভাই জোবায়েরকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে ফুফা মাওলানা আলী আকবারের বাড়িতে ফিরছিলেন ।
এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের ওই পাঁচ সদস্য তাদের মোটরসাইকের গতী রোধের চেষ্টা করে তাদের না থামাতে পেরে পিছু নিয়ে মেহেদী হাসানের ফুফার বাড়ির সামনে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় মেহেদী হাসানকে হকিস্টিক ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তখন স্থানীয়রা এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত শিক্ষার্থীর ফুফা মাওলানা আলী আকবার জানান, ‘মেহেদী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সময় না যাওয়া পর্যন্ত তার ব্যাপারে চিকিৎসকরাও কিছু বলতে পারছে না।’
আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন,
ঘটনার মূলহোতা শুভ ও তার সহযোগী তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এ বিষয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
Newsofdhaka24.com / News
আপনার মতামত লিখুন: