নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগমন উপলক্ষে আল্লাহর শুকরিয়ার্থে শরীয়ত সম্মতভাবে খুশি উদযাপন করাই হলো ঈদে মিলাদুন্নবী (সা :)। নবী রাসূল প্রেরণের ক্রমধারায় শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা:) এর আর্বিভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। হযরত ঈসা (আঃ)-এর পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ ধরায় নবী রাসূলের আগমন ঘটেনি।
এমতাবস্থায় বিশ্বের সর্বত্রই অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা ও সামাজিক দ্ব›দ্ব-সংঘাতের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এহেন চরমতম মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগে আবির্ভূত হলেন সাইয়্যেদুল মোরছালিন খাতামুন্নাবীয়্যিন রাহমাতাল্লি আলামিন মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তারপর থেকে পৃথিবীর সমস্ত জমিনই মসজিদে পরিণত হল। যার ফলে আমরা এখন মসজিদে ঘরে যানবাহনে পথে-ঘাটে সবখানেই নামাজ পড়তে পারছি। নবী করীম (সঃ) এর আগমনে আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হল আহলান ছাহলান, মারহাবান-মারহাবান! হযরত মা আমেনা বলেন তাঁর জন্মলগ্নের পর মুহূর্তেই একটা নূর প্রকাশিত হল যার আলোতে পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের সবকিছু আলোকিত হয় এবং যার আলোতে সিরিয়ার শাহী মহল মা আমেনা দেখতে পান।
(বায়হাকী দালায়েলুন নবুওত মুসনাদে আহমদ) রাসূলে পাক (সঃ) দুনিয়াতে তশরিফ আনার সাথে সাথে ক্বাবা শরীফ মাকামে ইব্রাহীমের দিকে ঝুঁকে পড়ে রাসূলেপাক (সঃ) এর বেলাদাতের তাজিম করেছিল। (মাদারেজুন্নবুয়ত) ঈদ অর্থ আনন্দ-খুশী, উৎসব। আর মিলাদ শব্দের অর্থ জন্ম বা জন্মবৃত্তান্ত। কোন নেয়ামত ও রহমত লাভ করলেই আনন্দোৎসব করা যেরূপ মানুষের স্বভাবজাত কাজে তদ্রুপ আল্লাহ তায়ালার নির্দেশও তাই। যেমন কোরআন মজিদে এরশাদ হয়েছে হে মানবকুল, তোমাদের কাছে উপদেশ বাণী এসেছে তোমাদের পরওয়ার দিগারের পক্ষ থেকে এবং অন্তরের রোগের নিরাময় হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।
(হে রাসূল) বলুন-আল্লাহর অনুগ্রহে এবং তাঁর দয়া, সুতরাং তাদের আনন্দিত হওয়া উচিত। (সূরা ইউনুছ ৫৭/৫৮)। স্রষ্টার সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব নুরুন্নবী (সঃ)-এর শুভাগমন, যা কোরআন পাকে ঘোষিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন-“হে রাসূল (সঃ) আপনি বলুন, তোমরা আল্লাহর নিয়ামত ও রহমত প্রাপ্তিতে আনন্দোৎসব কর। তোমাদের পুঞ্জিভূত সম্পদ অপেক্ষা এটি কত উত্তম!” (সূরা ইউনুছ-৫৮) মহাগ্রন্থ আল-কোরআন এবং অমিয় বাণী নিয়ে যিনি এ ধরায় আগমন করে আমাাদের ধন্য করেছেন তার আনন্দোৎসব করা উম্মতে মোহাম্মদীসহ সকল ধর্ম-বর্ণের, জাতির জন্য অবশ্য কর্তব্য। যেমন আল্লাহ পাক বলেন-হে রাসূল (সঃ) ‘
Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: