প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে পদ্মায়। শতাধিক একর জমির ফসল নদীর তীরবর্তী ও নিম্ন অঞ্চলে তলিয়ে গেছে ফসলের জমি ফরিদপুর জেলার কিছু জায়গায়।
ধান, বাদাম ও তিল জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
এভাবে পানি বৃদ্ধি হতে থাকলে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা দেখা দেবে পাশাপাশি বেড়েছে।
পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টের গেজ সালমা খাতুন বলেন রোববার পর্যন্ত পদ্মার পানি গতি ৬ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবে।
পানি বেড়েছে গত ২৪ ঘন্টায় ২৪ সেন্টিমিটার।
ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের পাল ডাংগি এলাকায় বিস্তীর্ণ ক্ষেত ডুবে গেছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
চরজুড়ে বেশিরভাগই ছিল বাদাম খেত। এখনো বাদাম অপরিপক্ক। নিরুপায় হয়ে বাদাম তুলে ফেলেছেন চাষিরা পানিতে তলিয়ে যাওয়া বাদাম।
এছাড়া তিল ক্ষেত ও ধান তলিয়ে গেছে পানির নিচে।
চড়া মূল্যে দিনমজুরি নিয়ে তুলতে হচ্ছে তলিয়ে যাওয়া বাদাম।
তুলে ফেলতে হচ্ছে অপরিপক্ক বাদাম।
সারাবছর কি খেয়ে বাঁচব এ চিন্তায় আছি বললেন, আলেয়া বেগম নামের একজন, সে আরও বললেন এবার বাদাম খুব ভালো হয়েছিল এক একর জমিতে বাদাম চাষ সে খরচ হয়েছিল ৩৫ হাজার টাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে এখন আসল টাকা উঠবে না।
আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেল এবার পানি বৃদ্ধির ফলে আমরা ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলাম না।
নিম্ন অঞ্চলে প্রায় শতাধিক একর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে পদ্মায় পানি বাড়ার কারণে।
ফরিদপুর ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন এবার পদ্মায় অসময়ে অপ্রত্যাশিতভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
পানি বাড়ছে প্রতিদিনি গত সপ্তাহে ৩ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে পানি বাড়তে থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়ে যাওয়ার আসংখ্যা রয়েছে ভয়াবহ।
ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ ডা. হযরত আলী বলেন ৫ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে বাদাম আবাদ করা হয়েছিল এ বছর ফরিদপুর জেলায়।
ধান আবাদ করা হয়েছিল ২২ হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে, এছাড়া ৫ হাজার ৩৭৪হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছিল তিল।
চরাঞ্চলে আবাদের পরিমাণ বেশি হয়েছিল বাদাম ও তিলের।
এবার পানি বৃদ্ধির কারণে চাষীদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
সরকারি ভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের তালিকা তৈরি করে।
Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: