
যার জ্ঞানের প্রদীপ থেকে আলোকিত বিশ্ব। এখান থেকে আলো নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে লক্ষ মানুষ। এমন মানব শত বছরেও একজন পাওয়া কঠিন। গুণী মানুষ কখনো মৃত্যুবরণ করেনা। বেঁচে থাকেন কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন হয়ে। মহান আল্লাহ তা'আলা যেন এই মহান ব্যক্তি কে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আমিন।
মোঃ কাঞ্চন মুন্সী, জন্ম বর্তমান ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম, ১৮৮০ সালের ৫ই মে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার জন্মগ্রহণ করেন।
জীবিকা অর্জন এবং দেশের মানুষের কল্যাণে মাত্র ২০ বছর বয়সে চলে যান কলকাতায়। কর্মজীবন শুরু করেন বোটে খালাসীর পদে। ধাপে ধাপে পোর্ট শিপিং কোম্পানির ম্যানেজারের দায়িত্ব অর্জন করেন। একই সাথে এন্ড্রোল কোম্পানি নামে আরও একটি প্রতিষ্ঠান ছিল ওই কোম্পানির। তৎকালীন সময়ে শিবিরের নামকরা কোম্পানির ছিল এটা। প্রায় ৩৫ হাজার কর্মচারী বেতন নিতেন এই কাঞ্চন মুন্সির স্বাক্ষরিত একাউন্টস থেকে।
অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টা ফলে অনেক ধন সম্পদের মালিক হয়েছিলেন। এবং সঞ্চিত অর্থ তিনি সর্বদা পরো-উপকার এবং দেশের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করতেন।
তার কঠোর পরিশ্রমের ফলে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়, কামারগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমি, মুন্সিবাড়ি মসজিদ, ঈদগাহ ময়দান, খেলার মাঠ, কবরস্থান, জল দিঘী, এছাড়া হাজারো লোকের কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন।
দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন করলে তার আত্মা সর্বদা শান্তি পেত। অন্যের সুখে সর্বদা আনন্দিত হত এই নিবেদিত প্রাণ। এই মহান ব্যক্তি ১৯৪৬ সালে পরলোক গমন করেন।
Newsofdhaka24.com / নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার মতামত লিখুন: